যশোরসহ সারাদেশে ক্যাডার প্রভাষকদের ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email

স্বাধীন কন্ঠ ডেস্ক

সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি বঞ্চিত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষকগণ আজ রবিবার (১৬ নভেম্বর) থেকে দেশজুড়ে শুরু করেছেন কঠোর কর্মসূচি— ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোরের বিভিন্ন সরকারি কলেজেও আজ সকাল ১০টা থেকে এই কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার প্রভাষক পরিষদের ব্যানারে ৩২তম থেকে ৩৭তম ব্যাচ পর্যন্ত পদোন্নতিযোগ্য প্রায় ২৫০০ প্রভাষক এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন।

শিক্ষক নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, শিক্ষা ক্যাডারে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির প্রক্রিয়া গত প্রায় ১৭ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এমনকি, গত জুন মাসে ডিপার্টমেন্টাল প্রমোশন কমিটির (ডিপিসি) সভা সম্পন্ন হওয়ার পরও সরকারি আদেশ (জিও) জারি হচ্ছে না। আন্দোলনের মুখে গত ১২ নভেম্বরের মধ্যে পদোন্নতির দাবি জানালেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

৩২তম ও ৩৩তম ব্যাচের চার শতাধিক প্রভাষক চাকরির ১২ বছর পূর্ণ করেও প্রথম পদোন্নতি পাননি। একই সময়ে অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা একাধিক ধাপে পদোন্নতি পেয়েছেন। বঞ্চিত প্রভাষকদের অভিযোগ, বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণের মাধ্যমে আত্মীকৃত শিক্ষকদের মামলার অজুহাত ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গাফিলতিতে তাদের পদোন্নতি আটকে আছে।

যশোরে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার প্রভাষক পরিষদের উদ্যোগে নিজ নিজ কলেজে এই কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে। প্রভাষকরা ক্লাসে অনুপস্থিত থেকে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরছেন। এই কর্মসূচির ফলে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, ৩২তম থেকে ৩৭তম ব্যাচ পর্যন্ত সকল যোগ্য প্রভাষকের পদোন্নতি দিলে সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লেষ থাকবে না, কারণ তাদের অধিকাংশই ইতিমধ্যে সহকারী অধ্যাপকের স্কেলের বেতন পাচ্ছেন। শুধুমাত্র সদিচ্ছা ও উদ্যোগ নিলেই এই জটিলতা নিরসন সম্ভব।

পদোন্নতি বঞ্চিত প্রভাষকদের পক্ষ থেকে তিনটি মূল দাবি জানানো হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা করা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০০০ বিধির কলেজগুলোর জাতীয়করণের তারিখ থেকে ক্যাডারভুক্তির নিয়মিতকরণের অবৈধ প্রজ্ঞাপনগুলো বাতিল করা। যোগ্য প্রভাষকদের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির সরকারি প্রজ্ঞাপন দ্রুত জারি করা।

শিক্ষক নেতৃবৃন্দ আরও জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সারাদেশে এই ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি অনির্দিষ্টকাল ধরে চলবে।