স্বাধীন কন্ঠ ডেস্ক
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের কায়েমখোলার চাঁদা গ্রাম থেকে মালদ্বীপ প্রবাসীর স্ত্রী জেনিয়া খাতুনের (২০) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবার এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করলেও, পুলিশ প্রাথমিকভাবে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে চাঁদা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের (মালদ্বীপ প্রবাসী) সঙ্গে পৌরসদরের কৃর্তিপুর মাঠপাড়া গ্রামের ছবুর গাজীর মেয়ে জেনিয়া খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের ১৬ মাস বয়সী এক পুত্র সন্তান রয়েছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে প্রতিবেশী ইব্রাহিম নিহতের পিতাকে ফোন করে জেনিয়ার আত্মহত্যার খবর দেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন ঘরের সিলিং ফ্যানে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় জেনিয়ার দেহ ঝুলছে। পরে গলার ওড়না কেটে তাকে নামানো হয়।
থানার তথ্যানুযায়ী, জেনিয়া শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে পারিবারিক কলহে জড়াতেন এবং দাম্পত্য জীবনে সুখে ছিলেন না। পরিবারের ধারণা, রাতে স্বামীর সঙ্গে ফোনালাপে পারিবারিক কলহের জেরে জেনিয়া রাগের বশে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
এদিকে গায়ের রং চাপা হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই জেনিয়ার ওপর নির্যাতন করত এমন দাবি নিহতের বাবা মায়ের। তাদের দাবি, ঘটনাস্থলের দৃশ্য ও জেনিয়ার শারীরিক ভঙ্গি দেখে এটি আত্মহত্যা নয়, বরং একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে।
এঘটনায়, নিহতের পিতা ছবুর গাজী বাদী হয়ে ঝিকরগাছা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুর মোহাম্মদ গাজী সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তবে প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে ঘটনার আসল রহস্য জানা যাবে।




