স্বাধীন কন্ঠ ডেস্ক
যশোরের কেশবপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক যুবদল নেতা উজ্জ্বল বিশ্বাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রায় ১৫ মিনিট পর তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আবিদ আহম্মেদ। তবে পরিবারের অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অত্যাচারে মারা যায় উজ্জ্বল। আটক উজ্জল বিশ্বাস হাজতী নম্বর-২৮২৪। তিনি কেশবপুর উপজেলার আলতাপোলের নাজির বিশ্বাসের ছেলে।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আবিদ আহম্মেদ জানান, রাত নয়টার দিকে উজ্জলকে কারাগারে হস্তান্তর করা হয়। সে সময় তিনি অসুস্থ ছিলেন। তার নথিতে উল্লেখ ছিল, তিনি গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। পরে তাকে কারা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রায় ১৫ মিনিট পর তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক জানান, তার শরীরের বিভিন্ন অংশে চাপা আঘাত ছিল এবং অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছে।
নিহত উজ্জলের স্বজনরা জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতনে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে উজ্জল। কেশবপুর থানা কর্তৃপক্ষকে বারবার বলা সত্ত্বেও তারা উজ্জলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি।
কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন জানান, রাতেই তারা উজ্জলকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করান। চিকিৎসা শেষে তাকে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে উজ্জল, জাহাঙ্গীর হোসেন পলাশ, আলম ও নতুন মূলগ্রামের রাসেলকে আটক করা হয়। ওই সময় তাদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, ধারালো অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়।
উজ্জল বিশ্বাসের (৩৯) কাছ থেকে একটি রামদা, তিনটি হাসুয়া ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা করে শুক্রবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে উজ্জলের মৃত্যু হয়।




