‘লন্ডনে দিল্লিতে, পিন্ডিতে বসে রাজনীতি চলবে না’

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email

স্বাধীন কন্ঠ ডেস্ক

ভোট কেন্দ্র নিরাপদ রাখতে তরুণদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। নতুন বাংলাদেশে যদি রাজনীতি করতে হয় তবে দেশকে ধারণ করে,ইনসাফকে ধারণ করে রাজনীতি করতে হবে। নতুন এ স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে, দেশকে ভালবাসলে দেশের মানুষের কাছে এসে রাজনীতি করতে হবে। লন্ডনে দিল্লিতে কিংবা পিন্ডিতে বসে আর কোন রাজনীতি করা চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম ।

শনিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ মিনি স্টেডিয়ামে জামায়াতে ইসলামের “তারুণ্যের উৎসব” সমাবেশে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

সাদিকা কায়েম বলেন, গত ৫৪ বছরে আমাদের যে আশা ছিল তা পূরণ হয়নি। গত ১৭ বছরে দেশে যে ফ্যাসিবাদী কাঠামো ছিল তাতে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি তরুণরা যেদিকে যাবে বাংলাদেশ সেদিকেই যাবে ইনশাল্লাহ।

ভোটে দল ও দলীয় প্রার্থী বিষয়ে জামাতে ইসলামীর প্রার্থীরা বিজয়ী হলে ঠাকুরগাঁয়ের এয়ারপোর্ট চালু করবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবকাঠামোগত উন্নয়ন করবে, এছাড়া এ অঞ্চলের কৃষক শ্রমিক মজুর যারা আছে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করবে আমাদের প্রার্থীরা।

সীমান্ত বিষয়ে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আমলে যে সীমান্ত হত্যাকান্ড গুলি হয়েছে, প্রতিটি সীমান্ত হত্যাকান্ডের বিচার করা হবে। স্বাধীন বাংলাদেশে ভারতের প্রেসক্রিপশন চলবে না। এদেশে দিল্লির দালালদের স্থান হবে না।

জুলাই বিপ্লব তরুণদের হাত ধরে হয়েছে। অনেক আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে, কিন্তু রাজনৈতিক বিভাজনের কারণে আন্দোলন সফল হয়নি। তরুণদের হাত ধরেই বিজয় এসেছে এদেশে তরুণরা ইনসাফের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এই বাংলাদেশে তরুণরা যদি ইনসাফের পক্ষে থাকে তাহলে স্বাধীন বাংলাদেশে এক গণজোয়ার হবে। এই গণজোয়ারে ৫৪ বছরের বঞ্চনা গুলো সমূলে উৎপাটন হয়ে যাবে। উত্তরবঙ্গের কৃষি বিপ্লবের মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশের অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে ইনশাল্লাহ। সমাবেশে বক্তব্যের এক পর্যায়ে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে ভোট চান তিনি।

এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা, জাতীয় গণশিল্পী অ্যাডভোকেট রোকনুজ্জামান, ঠাকুরগাঁও ১ আসনের জামায়তে ইসলামের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন, ঠাকুরগাঁও ২ আসনের আবদুল হাকিম এবং ঠাকুরগাঁও ৩ আসনের প্রার্থী মিজানুর রহমান মাস্টার সহ দলটির সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকবৃন্দ।