চোখ রাঙাচ্ছে পদ্মা, আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email

ফরিদ আহমেদ কুষ্টিয়া:- নিম্নচাপের প্রভাবে হওয়া ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানিতে চলতি সেপ্টেম্বর মাসের  ৫-৬ দিন ধরে ফের পদ্মানদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

এতে আতঙ্কিত কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা পাড়ের মানুষ। এর আগে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে নদীতে পানি বাড়লেও শেষের দিকে পানি কমতে শুরু করে। তবে, ফের পানি বাড়ায় বন্যার আশঙ্কায় রয়েছেন নদী ঘেঁষা উপজেলার চার ইউনিয়নে বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে চরের বেশ কিছু আবাদি জমির মাসকালাই সহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

তবে, পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াটার হাইড্রোলজি বিভাগ বলছে আর একদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার পানি বৃদ্ধি পাবে। পরে তা স্থিতিশীল থেকে আবার কমতে শুরু করবে এতে বন্যা হওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখছেন না তারা। তাদের দেওয়া তথ্য বলছে পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে সোমবার সকাল ৬ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টায় ২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল ৯ টা পর্যন্ত এখানে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল  ১২ দশমিক ১১ সেন্টিমিটারে যা বিপদ সিমার ১ দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার নিচে। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার।
দিকে ফের পদ্মা নদীর পানি বাড়ায় নদী তীরবর্তী মানুষ অসময়ে বন্যার আশঙ্কা করছেন। উপজেলার চিলমারী, রামকৃষ্ণপুর, মরিচা ও ফিলিপনগর এই চার ইউনিয়নের পদ্মা পাড়ের মানুষ বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়, ইতিমধ্যে পানিতে তলিয়েছে চরের আবাদি ফসলের মাঠ
উপজেলার চিলমারীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল মান্নান বলেন, নদীর আবার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে তবে, তা লোকালয়ে এখনো প্রবেশ করেনি। কিছু নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকেছে।  প্রায় ১০০ একরের মতো মাসকালাই ডুবে গেছে অনেকে পেঁয়াজ চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করছিল সেই জমিও এখন পানির নিচে। রামকৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল বলেন, ন পিদীতে পানি কমে গিয়ে ফের আবার বাড়তে শুরু করেছে তবে এখনও ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়নি।

চরে প্লাবিত হওয়া কৃষি জমির ক্ষয়ক্ষতির পরিমানের বিষয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার নুরুল ইসলাম বলেন, পদ্মায় পানি বৃদ্ধির ফলে ৪ ইউনিয়নের প্রায় ৩২ হেক্টর জমির মাসকালাই ডুবে গেছে এবাব চরে ২ হাজার ৩২৩ হেক্টর জমিতে মাসকালাই চাষ হয়েছে
এ বিষয়ে পাবনা ওয়াটার হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে আজ সোমবার সকালে ৯ টা  পর্যন্ত পানির প্রবাহ ছিলো ১২ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার যা বিপদ সিমার ১ দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার নিচে।

তবে এই পয়েন্টে বিপৎসীমার ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পাবে। এরপরে তা স্থিতিশীল থেকে আবার কমতে শুরু করবে এতে বন্যা হওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।